Welcome To "Sohanur's Blog" (সোহানুর’স ব্লগ এ স্বাগতম)
☻☺☺☺I Am Sohanur Rahman (The Blogger)☺☺☺☻

-->

Friday, July 14, 2017

Bhooter bari | বাড়িটা ঝিমুচ্ছে

সাত সকালে টেলিফোনটা বেজে উঠলো ।। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল । টেলিফোন ধরতেই ফরহাদের গলা ভেসে উঠলো ।
কিরে এখনো ঘুমাচ্ছিস ?
তুই আর ঘুমাতে দিলি কই ?
আরে শোন জব্বর খবর আছে । তাইতো এই সাত সকালে টেলিফোন করেছি । তোকে এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই ।
তুই যেখানে খুশি যা আমাকে একটু ঘুমাতে দে ।
ঠিক আছে আরো এক ঘন্টা সময় দিলাম । তারপর এসে আমার সংগে নাস্তা খাবি । তোর প্রিয় নাস্তা পরোটা মাংস থাকবে । তোর সখের রস মালাই ও থাকবে । আসিস কিন্তু ।
আর নাস্তার লোভ দেখাতে হবে না
তাহলে অবশ্যই আসবি সুমন । দেড় ঘন্টার ভিতরে আসবি ।
নাস্তা খাওয়ার পর ফরহাদ বললো চল এবার ।Click here
কোন চুলায় যেতে হবে ?
তুই চোখ বুঁজে হুন্ডায় আমার পেছনে বসবি । তারপর দেখবি কোথায় যাই ।
হুন্ডা এসে থমলো শহর থেকে কিছু দূরে গাছ গাছালিতে পরিপূর্ণ একটা ধপধপে সাদা বাড়ির সামনে । বাড়িটা দেখেই কেন জানি আমার মনে হল বাড়িটা শ্বেত পাথর দিয়ে তৈরী ।সূর্যের অলোয় অপূর্ব রঙের সমাহারে ঝক ঝকে তক তকে বাড়ি । বাড়ির গেটে এক দারোয়ান বসে ঝিমুচ্ছে ।দারোয়ানের চোখগুলো মনে হচ্ছে রক্তের মত লাল । পরনের কাপড় দেখলে মনে হয় যেন শত বর্ষ আগের কেনা । এ সমস্ত দেখে
আমি ফরহাদকে জিজ্ঞেস করলাম ,এখানে কি করতে এসেছিস ?
আরে ঐ বাড়িটা আমি কিনবো । তোকে দেখাতে নিয়ে এলাম ।
তুই কিনবি ? সেলিনাকে বলেছিস ?
এখন ও বলি নাই ।বিয়ের পর তাকে সারপ্রাইজ দেব । বাড়িটা তাকেই দিয়ে দেব ।Earn money by click Here
চল ভিতরটা দেখে আসি । দারোয়ানকে গেট খুলতে বল ।
দারোয়ান কিছুক্ষণ আমাদের মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে গেট খুলে দিল কিন্তু কোন কথা বললো না ।
ভিতরে ঢুকেই প্রথমে চোখে পড়লো গেটের এক পাশে শিউলি ফুলের গাছ । অন্য পাশে বকুল ফুলের গাছ । মাঝখানে ঝক ঝকে পাকা সিমেন্টের রাস্তা তাও ধপ ধপে সাদা । রাস্তা পার হয়েই বিরাট বারান্দা । তারপর বসবার ঘর । সাজানো ঘোচানো । উপরে তিনটি বেডরুম । সবগুলোই সাজানো ঘুচানো । প্রতিটি বেডে ঝক ঝকে সাদা বেড কভার বিছানো । সুন্দর করে সাজানো প্রতিটি বেডরুম । দেখে মুগ্ধ হলাম । দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেল । আকাশে রূপালি চাঁদের হাসি বিচ্ছুরিত হল । ধপ ধপে সাদা বাড়িটা স্বর্গীয় শোভায় আলোক বিচ্ছুরিত করতে লাগলো । আমরা দেখে মুগ্ধ হলাম ।
বাড়িটা কিনলো ফরহাদ ।আমার সঙ্গে শর্ত হল ফরহাদের বিয়ের আগ পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে এ বাড়িতে থাকবো । কারণ একা সে নিঃসঙ্গ বোধ করবে । বাড়িতে পার হওয়ার পর থেকে বাড়ির ভিতরের ফুলে ফুলে সুশোভিত বাগানে হঠাৎ হঠাৎ মেয়েলি কন্ঠে গান ভেসে আসতো । কখনো কখনো এক দীর্ঘ ঘন কালো কেশী সুন্দরি মহিলার দেখা মিলতো আবার মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যেত । তারপর এলো পূর্ণিমার রাত । সারা রাত ধরে মারামারি আর হট্টগোলের আর কান্নার শব্দ ভেসে আসলো । কারা যেন ফরহাদের আর আমার টুটি টিপে ধরলো । সকালে আমরা দুজনই ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত । আসার আগে দারোয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে একটা কথা সে বললো , বাবু হাম তো দুশ বছর আগ মে মর গিয়া ।পূর্ণিমা রাত মে ডাকাত হাম সব কো কতল কর দিয়া বলেই সে অদৃশ্য হয়ে গেল Get 50 MB free

No comments:

Post a Comment